পলাশে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আগের সংবাদ

র‍্যাবের অভিযানে ১০ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

পরের সংবাদ

থানায় লিখিত অভিযোগের পর মালামাল উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৩ , ৭:১২ পূর্বাহ্ণ

নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতার দোকান থেকে লুট হওয়া মালামাল লিখিত অভিযোগের পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ আগস্ট) রাতে অভিযান চালিয়ে মালামালগুলো উদ্ধার করা হয়।

আলোকবালী ইউনিয়ন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, আলোকবালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী হাসান আলী ও যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেন গ্রুপের সাথে একই ইউনিয়নের বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাকির হোসেন ও জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে।

বিরোধের জেরে, গত ২০ জুলাই উভয় গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে হাজী হাসান আলী ও জাকির হোসেনের গ্রুপটি এলাকা ছাড়া হয়ে পড়ে। এ ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে হাজী হাসান আলীর নেতৃত্বে তার লোকজন গ্রামে আবারও প্রবেশ করছে এমন অভিযোগে ওই এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জয়নাল আবেদিনের লোকজন জড়ো হয়। পরে হাসান আলীর দোকানে লুটপাট করে ও একই এলাকার হালিমা আক্তারের বাড়ীতে আগুন দেয়। তবে ঘটনায় হাসান আলী থানায় অভিযোগ করলেও হালিমা বেগম কোনো অভিযোগ করেনি।

ওই ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে ৫ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়।

আওয়ামীলীগ নেতা হাসান আলীর দাবি তার দোকান থেকে মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদিন অস্বীকার করেন।

আলোকবালী ইউনিয়ন পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইউসুফ আলী বলেন, ‘ভুক্তভোগী হাজী হাসান আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে খোয়ানো জিনিসপত্র উদ্ধার করেছি। এগুলো আমাদের কাছে জব্দ আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হবে। তাছাড়াও, কিছু টেটা উদ্ধার করা হয়েছে।’

এর আগে, গত ১৯ জুলাই দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয় এবং উভয় গ্রুপের আটজন গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এ ঘটনা পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

নরসিংদী মিরর/এফএ