জবি প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক নরসিংদীর রিদুয়ান

আগের সংবাদ

ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ, প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

পরের সংবাদ

পলাশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইউএনও’র ভাষাচর্চা ক্লাব

মিরর ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৩ , ১০:৩৮ অপরাহ্ণ

নাদিয়া ভূঁইয়া, পলাশ: নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ভাষাচর্চা ক্লাব বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখানে বাংলা ভাষায় শুদ্ধোচ্চারণ ও ইংরেজিতে কথোপকথন শিখতে শিক্ষার্থীরা দারুণ ভাবে উৎসাহিত হচ্ছে।

জানা যায়, পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ রবিউল আলমের উদ্যোগে ভাষাচর্চা ক্লাব চালু হয়। উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা যাতে করে নিজের মাতৃভাষার মাধুর্য উপলব্ধি ও শুদ্ধ উচ্চারণ শিখতে পারে এবং আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে ভাষাচর্চার জন্য ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব চালু করেন।

প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে শতাধিক শিক্ষার্থী এ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবে অংশ নেয়। তাদের আগ্রহ বাড়ায় দিন দিন উপস্থিতি সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল আলম পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজে ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষকগণ ক্লাস নিচ্ছেন।

ভাষাচর্চা ক্লাবের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শুদ্ধ বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতেও এখন কথা বলতে পারি।

ঘোড়াশাল নজরুল বিন নুর মহসিন গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রিনা নাসরিন জানান, ভাষাচর্চা ক্লাবের ইংরেজি চর্চায় অংশ নিয়ে তারা এখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইংরেজিতে কথা বলা শিখছে। এতে মাঝে মধ্যে ভুল হচ্ছে। তারপরও শুদ্ধভাবে বাংলা ও ইংরেজি চর্চায় দারুণভাবে উৎসাহিত হচ্ছেন তারা।

এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল আলম বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের জড়তা কাটানো ও বিদ্যালয়মুখী করা এবং স্মার্ট পলাশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে গতবছরের ডিসেম্বর মাসে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ল্যাংগুয়েজ ক্লাব চালু করি। বর্তমানে ১০৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম চালু রয়েছে। স্মার্ট জিপিএস হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রাত্যহিক সমাবেশ ও ল্যাংগুয়েজ ক্লাব কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ৩০টি প্রতিষ্ঠানে বিতর্ক ক্লাব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইউএনও কর্তৃক পরিচালিত “নো ইউর পটেনশিয়াল” নামক সেশনটির কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে যা ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেদের সক্ষমতাকে জানতে সাহায্য করছে এবং আরো বেশি আত্মপ্রত্যয়ী করছে। শিল্পসমৃদ্ধ পলাশকে এই ছাত্র-ছাত্রীরাই স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে উঠে স্মার্ট পলাশে রুপান্তর করবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

নরসিংদী মিরর/এফএ