নরসিংদীতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মোন্তাজ উদ্দিন ভূঞাকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সাথে দল থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না এই মর্মে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব চেয়ে কারন দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৯ টার দিকে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের প্যাডে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- গত ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে স্থানীয় সাংসদ মো. নজরুল ইসলাম হিরুর আহ্বানকৃত প্রতিবাদ সমাবেশে সাংসদের উপস্থিতিতে আপনি বক্তব্য দেন। বক্তব্যে সাংসদ মো. নজরুল ইসলাম হিরুকে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি প্রসঙ্গে জনসমক্ষে আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জাতীয় নেতৃবৃন্দকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অর্থনৈতিক লেনদেনের যে অভিযোগ করেছেন তাতে দলের ভাবমূর্তি ও দলীয় শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে। ফলশ্রুতিতে দলীয় নেতকর্মীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ, হতাশা, বিশৃঙখলা ও বিভাজন তৈরি হয়েছে। আপনার এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ, অশালীন কার্যকলাপ গঠনতন্ত্র বিরোধী বিধায় আপনাকে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
পাশাপাশি দল থেকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না এই মর্মে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ করা হল।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় প্রাঙ্গনে এমপি নজরুল ইসলাম হিরুর আহবানে প্রতিবাদ সভায় জনসম্মুখে মোন্তাজ উদ্দিন ভূইয়া কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দদের প্রশ্নবিদ্ধ করে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যকালে মোন্তাজ ভূঞা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নজরুল ইসলাম হিরু এমপিকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দলের অভ্যন্তরে সমালোচনা শুরু হয় । নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগ নেতারা মনে করে এ বক্তব্যে দলীয় ভাব মূর্তি ও কেন্দ্রীয় নেতারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন ।
দলের একজন জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, মোন্তাজ ভূঞা একজন সিনিয়র নেতা। তিনি জেলা আওয়ামীলীগের একজন দায়িত্বশীল সদস্য। তার মুখ তার কাছ থেকে এমন বক্তব্য আমাদের কাম্য নয়। তবে দল থেকে স্থায়ী বহিস্কারের পক্ষে আমি নই ।কারন তিনিও আওয়ামীলীগকে ভালবাসেন ।