প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টায় ১ জনকে ৩ মাসের কারাদণ্ড

আগের সংবাদ

রায়পুরায় বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু

পরের সংবাদ

কাঁচা আমের উপকারিতা

মোঃ ফরহাদ আলম

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩ , ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ

গ্রীষ্মকালীন প্রধান ফল আম। ছোট-বড় সকলে আম খেতে পছন্দ করেন। কাঁচা অথবা পাকা দুই ধরনের আমই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গ্রীষ্মের গরমে কাঁচা আমের এক গ্লাস শরবত প্রশান্তি এনে দেয়। কাঁচা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় প্রচণ্ড গরমে তা শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নেই কাঁচা আমের গুণাগুণ:-

শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে: ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে কাঁচা আম বেশ উপকারী। কারণ, পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে বলে এটি দেহে খুব কম ক্যালরি সরবরাহ করে থাকে। পাশাপাশি শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ক্যালরি পুড়াতেও সাহায্য করে।

ভিটামিন সি: কাঁচা আমে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘সি’। দাঁত, চুল, নখ ভালো রাখার জন্য ভিটামিন ‘সি’ জরুরি। স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া কমায় কাঁচা আম। নিশ্বাসের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় রোধেও সহায়তা করে মৌসুমী ফল কাঁচা আম। এ ছাড়া ভিটামিন ‘সি’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করে, ফলে হাড় হয় শক্তিশালী। ভিটামিন ‘সি’ নতুন রক্ত কণিকা সৃষ্টিতে সাহায্য করে, আয়রনের শোষণে এবং রক্তপাতের প্রবণতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

যকৃতের সমস্যা দূর করে: কাঁচা আম খাওয়ার পর পিত্তথলির এসিড ও পিত্ত রস বৃদ্ধি পাওয়ার কারেণ যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও দূর হয়। তাই যকৃতের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক বন্ধু হতে পারে কাঁচা আম।

পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করে: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য অনেকেই পেটে গ্যাসের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া বা অম্লতার সমস্যায় ভুগে থাকেন। কাঁচা আমে গ্যালিক অ্যাসিড থাকার কারণে তা হজম প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে।

ঘামাচি প্রতিরোধ করে: গ্রীষ্মে সবচেয়ে অস্বস্তিকর ব্যাপার হলো ঘামাচি। কাঁচা আমের পুষ্টি উপাদান ঘামাচির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। কাঁচা আমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা সানস্ট্রোক হতে বাধা দেয়।

চুল ও ত্বক উজ্জ্বল করে: কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে তা চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মে তাই চুল ও ত্বক সুন্দর রাখতে কাঁচা আম খেতে পারেন।

ঘাম কমায়, শরীর ঠাণ্ডা রাখে: কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকে, এটি শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা আমের শরবত খেয়ে ঘামের মাত্রা কমানো সম্ভব। শরীরে অতিরিক্ত ঘামের ফলে সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং আয়রন কমতে শুরু করে। যা প্রতিরোধ করে কাঁচা আম।

নরসিংদী মিরর/এফএ