বিএনপির নেতা মঞ্জুর এলাহীকে পুলিশ আটকের কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা । এর আগে সন্ধ্যায় মঞ্জুর এলাহী কে আটকের অভিযোগে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মেয়র প্রার্থী হারুনুর রশীদ এসপি অফিসের সামনে অবস্থান নেন বলে জানান বিএনপি নেতা শাহরিয়ার শামস কেনেডি। পরে কোনো মামলা না থাকায় মনজুর এলাহীকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান বিএনপির এ নেতা। তবে আটকের কথা অস্বীকার করছে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ।
১৪ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আজকে ছিল শেষ নির্বাচনি প্রচারণা। তবে এরই মধ্যে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধ গ্রেফতার অভিযান শুরু হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
জানা যায়, সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনিত প্রার্থী হারুন অর রশিদের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে অতর্কিতভাবে পুলিশ অভিযান চালায়। বিনা পরোয়ানায় নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর এ এলাহী ও নরসিংদী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বাবুল সরকার কে পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ করেছিল বিএনপির নেতারা।
তবে এ বিষয়ে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কিছু জানেন না বলে জানান। মডেল থানায় মনজুর এলাহী কে নিয়ে আসা হয়নি বলেও তিনি বলেন। নরসিংদী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব এনামুল হক সাগর কে একাধিকবার ফোনে করেও পাওয়া যায়নি। উনার নাম্বারে টেক্সট মেসেজ করলেও পাল্টা কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
আকষ্মিক এ ঘটনায় দলের ভেতরে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দলের নেতাকর্মী বলছেন, আমাদের নির্বাচনকে বানচাল করতে নৌকা মার্কার প্রার্থী এসব করছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নৌকার ভরাডুবি হবে। সে ভয় থেকেই হামলা মামলা করে আমাদের দুর্বল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বিএনপির মেয়র প্রার্থী হারুন অর রশিদকে ফোন করে এ সময় পাওয়া যায়নি। বিএনপির জেলা সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সাবেক ছাত্রদল নেতা ফকির রনির বাসায় গত রাতে পুলিশ গিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।
নরসিংদী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জাপ্পি বলেন, নৌকার পতন নিশ্চিত। নরসিংদীবাসী তাদের প্রত্যাখান করেছেন। তাই নির্বাচনে একক আধিপত্য বিস্তার করার কুট কৌশলকে বাস্তবায়ন করার জন্য তারা এ জঘণ্য কাজ করেছে। মঞ্জুর ভাই ও বাবুল ভাই তারা পরিচ্ছন্ন মানুষ ।তাদের নামে কখনো মামলা ছিলনা। প্রতিপক্ষ কে দুর্বল করার হীন মন মানসিকতা থেকে সরকার দলীয় লোক এ কাজ করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি ।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং প্রতিবাদ পরিলক্ষিত হয়েছে।