নরসিংদী জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরদের গ্রেফতারের নিন্দা ও তাদের অনতিবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ।
শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে তার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি নিন্দা ও মুক্তির দাবি করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিন, তাবভীর হোসেন, নাঈম হোসেন, আবু সুফিয়ান ও আব্দুল্লাহ সরকার এবং ফাযিল (সম্মান সমমান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষা শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম।
প্রেস রিলিজে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে দাবি করা হয় যে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দাখিল (এসএসসি সমমান) পরীক্ষার্থীদের জন্য স্মরণিকা তৈরীর করতে যাচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। নরসিংদী সদর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী মোড় এলাকার ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস থেকে স্মরণিকার আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে মাদ্রাসায় ফেরার পথে গত ৩০ অক্টোবর বিকালে ৬ শিক্ষার্থীকে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
তাছাড়াও গত ১৫ অক্টোবর আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে মাদ্রাসার পাশের এলাকার তার নিজ বাড়ীর গেইট ভেঙ্গে গভীর রাতে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এবং নরসিংদী মাধবদী থানায় মিথ্যা নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় যে, এসব ঘটনায় তাদেরকে মিথ্যা মামলায় দিয়ে গ্রেফতার করায় জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা জানাচ্ছি। তাদের অনতিবিলম্বে মুক্তি ও সকল প্রকার হয়রানিমূলক ও কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
নরসিংদী মিরর/এফএ
