ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যাঙ্গচিত্র বানিয়ে অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন রায়পুরা উপজেলার বৃহত্তর বাঁশগাড়ীর চরমেঘনা ইখওয়ানুল মুসলিমিন যুব সংগঠন এবং মেঘনা ছাত্র সংঘ। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দূর দুরান্ত থেকে উপস্থিত হন বাঁশগাড়ীর ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ ঘটিকায় বাঁশগাড়ী ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একটি মিছিল বের হয়ে চান্দের কান্দি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এসে সমাহিত হয়।সেখানে বটতলী কান্দি (দক্ষিণ পাড়া) যুব সংগঠন এবং শতাধিক মুসল্লি ঐ মিছিলে যুক্ত হয়ে বাঁশগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় এর উদ্দেশ্য রওনা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন মুফতি শহীদ আহমাদ,মোহতামিম বাঁশগাড়ী চান্দের কান্দি মাদ্রাসা। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল মুমিন রায়পুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ রায়পুরা উপজেলা শাখা। মুফতি গোলাম সারওয়ার ফরীদি,সহ সভাপতি ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ রায়পুরা উপজেলা শাখা। মাওলানা সাজিদুল্লাহ সায়েম, সভাপতি ইসলামি যুব আন্দোলন বাংলাদেশ রায়পুরা উপজেলা শাখা। মুফতি মোস্তফা আল হুসাইনী,মোহতামিম জামিয়া ইসলামিয়া ফারুকিয়া শিবপুর নরসিংদী। মুফতি জসিম উদ্দিন, মোহতামিম বাঁশগাড়ী চান্দের কান্দি মহিলা মাদ্রাসা।
হাফেজ ফয়জুল্লাহ সাহেব,মোহতামিম বাঁশগাড়ী দিঘলিয়া কান্দি আফিয়া খানম মাদ্রাসা।মুফতি আব্দুল কাইয়ুম হাসেমি, শিক্ষা সচিব বাঁশগাড়ী চান্দের কান্দি মাদ্রাসা। জনাব রফিকুল ইসলাম সিরাজী, প্রধান শিক্ষক,বাঁশগাড়ী নিউ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। জানাব জাহাঙ্গীর সরকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক। বিশিষ্ট শিক্ষানবিশ জনাব শিপন শরীফুল। জনাব গয়েস আলী মেম্বার। এম.জাকির হোসেন জনি,সহসম্পাদক নরসিংদী জেলা যুবলীগ।মো মামুন মিয়া, যুবলীগ নেতা। মো মোস্তফা কামাল,কোষাধ্যক্ষ মেঘনা ছাত্র সংঘ। মামুন মিয়া, সদস্য মেঘনা ছাত্র সংঘ।
আরো উপস্থিত ছিলেন, রহমত উল্লাহ সরকার, সাধারণ সম্পাদক কালের কন্ঠ শুভসংঘ, রায়পুরা উপজেলা শাখা। মাওলানা সাব্বির রশীদ,উলুমুল হাদিস বিভাগ,জামিয়া মাহমুদিয়া যাত্রাবাড়ী ঢাকা। আবু সিদ্দিক জনি,আহবায়ক বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ।মো সাদ্দাম হোসেন, সদস্য বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। মো পরশ মনি,সদস্য বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। মাওলানা মনিরুজ্জামান আশ্রাফী, মো এবাদুল্লাহ্, সদস্য মেঘনা ছাত্র সংঘ,আশিক রানা,সদস্য মেঘনা ছাত্র সংঘ। মুহাম্মদ সালমান আহমেদ জিসান এবং মাওলানা আবদুল হকসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে মুহাম্মদ সাঃ কে কটুক্তি করার জন্য তীব্র নিন্দা জানানোর আহবান জানান
এবং বক্তারা ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করার আহবান জানান ও বাংলাদেশের সংসদে মুহাম্মদ (সাঃ) কে গালাগালকারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের আইন পাস করারও দাবী জানান। ফ্রান্সের পতাকা পুড়ানোর মাধ্যমে শেষ হয় বৃহত্তর বাঁশগাড়ীর বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সভা।