পাঠাভ্যাস মানবপ্রকৃতিকে নিখুঁত করে এবং তা আবার অভিজ্ঞতার দ্বারা বিকশিত হয়। প্রাকৃতিক দক্ষতা হলো উদ্ভিদের মতো, কেটেছেঁটে যত্ন নিতে হয়। বই সেই পরিচর্যার কাজটি করে। পরিমার্জিত বই হলো বিশুদ্ধায়িত জলের মতো,চকচকে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি নরসিংদী ইউনিট প্রতি রবিবার আসে পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজে।
কলেজের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পড়ুয়া সদস্যরা বই নিতে আসে।আবার কেউ দাঁড়িয়ে থাকে বাসার সামনে।গাড়ি থেমে বই দিয়ে যায় পড়ুয়ার হাতে।
এভাবেই চলছে আনন্দময় বই পড়ার কাজ।সেন্ট্রাল কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বিরাশি জন্য বই পড়ার সদস্য। নিয়মিত বই পড়া ছাড়াও নানা কর্মসূচি তে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে পুরস্কার পাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, পলাশে ১৯৯৬ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচি চলছিল আটটি স্কুল-কলেজে।বর্তমানে দুটি স্কুলে কেন্দ্র থেকে বই পড়া চলছে। তৎকালীন সংগঠক শহিদুল হক সুমন বলেন”তখন পলাশের প্রায় ৯০০ শিক্ষার্থী বই পড়তো এবং মূল্যায়ন দিয়ে পুরস্কার পেত। পড়ুয়াদের একটি উৎসবমূখর প্রতিযোগিতা ছিল। দীর্ঘদিন গতি কমে ছিল, এখন মোবাইল লাইব্রেরি র জন্য আবার পড়ুয়া বাড়ছে।”