নরসিংদীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আগের সংবাদ

সরকার শিল্প দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে: শিল্পমন্ত্রী

পরের সংবাদ

নরসিংদীতে ওসি ও এসআইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০ , ৯:১৫ অপরাহ্ণ

নরসিংদীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপ পরিদর্শক (এসআই)সহ তিনজনের এর বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ী মামলা দায়ের করেছে। রবিবার বিকালে নরসিংদী আদালতের মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. রকিবুল ইসলামের আদালতে শহরের বানিয়াছল এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির মুন্সি বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে র‌্যাব-১১ কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামীরা হচ্ছেন, নরসিংদী সদর মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও বর্তমানে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সৈয়দুজ্জামান, সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক ও পুলিশের কথিত সোর্স সবুজ।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, হুমায়ুন কবির মুন্সি ও তার ছেলে আতিক দীর্ঘদিন যাবত নরসিংদী শহরের বানিয়াছল বটতলা বাজারে কাঠের ফার্নিচারের ব্যবসা করে আসছেন। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা বাজারের ব্যবসায়ীদের জানা ছিলো না। গত ২১ জুন সোমবার সন্ধ্যার পর ফার্নিচারের দোকান খোলা রাখার অপরাধে হুমায়ুন কবিরের ছেলে আতিকসহ বিভিন্ন দোকান থেকে ৬ জনকে মারধর করতে করতে ধরে নিয়ে যায় সদর থানার এস.আই মোস্তাক ও পুলিশের কথিত সোর্স সবুজ।
পরে নরসিংদী সদর মডেল থানা থেকে ছেলে আতিককে ছাড়িয়ে আনতে ফার্নিচার ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরকে খবর দেয় পুলিশের সোর্স সবুজ মিয়া। হুমায়ুন কবির থানায় গিয়ে জানতে পারেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার ছেলে আতিক ছাড়া অন্যান্যদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
এসময় ছেলেকে ছাড়ানোর জন্য অনুরোধ করলে তৎকালীন নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বর্তমানে মাধবদী থানায় কমর্রত সৈয়দুজ্জামান ও নরসিংদী মডেল থানার এস আই মোস্তাক ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে ছেলেকে ক্রসফায়ারে ফেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এসময় নিরুপায় হয়ে ছেলেকে বাঁচানোর জন্য ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন পিতা হুমায়ুন। পরে বাকি টাকা দিতে না পারায় আতিককে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয় এবং পরের দিন একটি পুরাতন (পেনডিং) ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী হুমায়ুন কবির মুন্সি জানায়, আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে থানায় কোনো অভিযোগ পর্যন্ত নেই। অথচ ওসি সৈয়দুজ্জামান ও এস আই মোস্তাক বিনা অপরাধে ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। দাবিকৃত চাঁদার পুরো টাকা দিতে না পারায় ডাকাতির মামলায় কোর্টে চালান করে দিয়েছে। আমার নিরপরাধ ছেলেটার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে তারা। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

ছবি: ওসি মো: সৈয়দুজ্জামান
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দুজ্জামান বলেন, আমার বিশ্বাস , আমি তাকে চিনিনা, সেও আমাকে চিনেনা। এর পেছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।