রোহিঙ্গা হত্যায় মার্শাল কোর্টে অভিযুক্ত মায়ানমার সৈন্যরা

আগের সংবাদ

বদ্ধ ঘর

পরের সংবাদ

নরসিংদীতে ভৌতিক বিল

কয়েকগুণ বেশি বিদ্যুৎ বিলের পিছনের কারন কী?

ইয়াহইয়া নকিব

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২০ , ১:১৭ অপরাহ্ণ

সারা দেশে করোনার এ সময়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। ভৌতিক অস্বাভাবিক বিল ও পরিশোধ করা বিল আবার যুক্ত করে দেয়ার জামেলা নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকেও। সারা দেশের মতো নরসিংদিতেও অস্বাভাবিক বিদ্যুৎবিল আসার অনেক অভিযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে মানুষের ভিড়। ঘটনার পিছনের কারণ খুঁজতে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসে যায় মিরর টিম। কথা হয় ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ ও সরসিংদী সদর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমের সাথে।

গোলাপ চত্বরের অফিসে সকাল থেকেই মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হয়। তিন সারিতে মানুষ বিল পরিশোধের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তার মধ্যে একটি সারিতে যাদের অনেক বেশি বিল এসেছে তাদের অভিযোগ সমাধান করা চেষ্টা করা হচ্ছিলো। কয়েকজনের সাথ কথা বলে দুই ধরণের অভিযোগ বেশি পরিলক্ষিত হয়। বাসাইলের বাসিন্দা আ.লতিলের বিল দিতে এসেছেন  উনার স্ত্রী। গত তিন মাসের বিল দেয়া থাকলেও নতুন করে আগের তিন মাসের বিল সংযুক্ত করা হয় জুন মাসের বিলের সাথে। অথচ আগের তিন মাস অর্থাৎ মার্চ, এপ্রিল মে মাসের বিল পরিশোধ করা ছিল এ গ্রাহকের। এমন গুরুতর অভিযোগ নিয়ে অনেকে এসেছেন। এ বিষয়ে বিদুৎ অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার তোফায়েল আলম বলেন সরকারের নির্দেশে করোনার প্রথম তিন মাসের
আলাদা আলাদা বিল করা হয়। তাই জুন মাসে এসে আগের অনেক বিল ভুলে একসাথে এসে পড়েছে। গাবতলী থেকে আসা আরেক জাকির হোসেরনের একই সমস্যায় পড়তে হয়।

বিদ্যুৎ অফিস

আব্দুল মিয়া নামের এক গ্রাহকের মার্চ, এপ্রিল, মে এই তিন মাসে বিল আসছিলো ২২৫৮ টাকা অর্থাৎ প্রতি মাসে প্রায় ৭৫২ টাকা গড়ে। তবে জুন মাসে উনার বিল এসেছে ১৮৮৩ টাকা। হঠাৎ করে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বিল আসায় অফিসে আসতে হয়েছে অভিযোগ নিয়ে। তবে মিটার থেকে সামাধান করে দিবেন বলে আশ্বাস পেয়েছেন তিনি।

আরেক জনের সাথে কথা বলে জানা যায় মে মাসে উনার বিল ছিল ৩৪০ টাকা। তিনি সে বিল পরিশোধ করতে পারেননি। এ মাসে মে মাস ও জুন মিলিয়ে উনার বিল এসেছে ১৪১১ টাকা।এখানেও প্রায় তিন গুণের বেশি বিল এসছে। এভাবে অনেক মানুষ অভিযোগ নিয়ে আসায় অফিসের অনেক কর্মকর্তা বিরক্ত হচ্ছিলো। তবে উনাদের ভুলের কারণেই গ্রাহেকের এ ভোগান্তি।

কেন এতা সমস্যা?

কথা হয় পল্লী বিদ্যুৎ সদর জোন-২ এর দায়িত্বে থাকা ডিজিএম মাহফুজুর রহমানের সাথে। তিনি জানান করোনার কারণে সাধারণ ছুটি চলাকালীন সময়ে মিটার রিডার কর্মকর্তারা বাসায় বাসায় গিয়ে বিল না করে অনুমানের উপর বিল করেছেন সে জন্য এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এখন থেকে এ সমস্যা থাকবে না বলেও জানান। তাছাড়া সকল অভিযোগের সমাধান দেয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানান। আবার কয়েক মাসের পরিশোধ করা বিলও কেন নতুন বিলের সাথে আসছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি জানান ছুটির কারণে ব্যাংকের সাথে সঠিকসভাবে সমন্বয় করা যায়নি। তাই আগের বিলও যুক্ত হয়ে গেছে। তবে এ সমস্যা নিয়ে যারাই আসছেন তাদের সামধান করে দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ৩০ জুনের পর বিল পরিশোধ করলে জরিমানা গুনহে হবে বলে সরকার সতর্ক করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে বিদ্যুৎ অফিসে মানুষের ভিড় ও ভোগান্তি বেড়ে যায়।

 

ভিডি দেখুন

নরসিংদীতে ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ

নকি