ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ।
আইন পরিপন্থী উদ্ধত্যপূর্ণ কোন বক্তব্য বা আচরণ এই দেশে সহ্য করা হবে না। যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান, তাদেরকে সতর্ক করছি। যদি কেউ রাষ্ট্র, জনগণ ও ধর্মকে পরস্পর বিরোধী অবস্থানে দাঁড় করানো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। মানুষের ভাস্কর্য ও দেবতার ভাস্কর্য এই দুটির মধ্যে যারা গুলিয়ে ফেলে, সেটা অন্য কোন মুসলিম দেশে তার কোন দৃষ্টান্ত নেই।
তাদেরকেও বিবেক দিয়ে অন্তর দিয়ে বাস্তবতা অনুধাবন করে ভবিষ্যতে পথ চলা উচিত। কোন প্রকার উস্কানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। রবিবার দুপুরে নরসিংদী পৌরসভার মিলানয়তনে জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,আমরা সকলেই ধর্ম বিশ্বাসী মানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিন শুরু হয় ফজরের নামাজ আর কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে। এই দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়েনের পাশাপাশি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কওমি মাদ্রাসাও শেখ হাসিনা স্বীকৃতি দিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নিজের লোক দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করা যাবে না। দলকে শক্তিশালী করতে হলে নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। চিহ্নিত অপরাধী, দখলদার, মাদক সেবী, মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, নারী অবমাননাকারী বিতর্কিত লোকদের দলে আনা যাবেনা। একটি খারাপ কাজ দশটা ভালো কাজকে ঢেকে দিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন এসব কথা শুনেন, পত্র পত্রিকায় খবর দেখেন, তখন তিনি খুব কষ্ট পান। প্রধানমন্ত্রী অনেক কষ্ট করে বঙ্গবন্ধুর এই দলকে সারা দেশে ঘুরে ঘুরে সু-সংগঠিত করেছে। যে দুই একজনের জন্য সংগঠনের বদনাম হচ্ছে। তাদেরকে দল থেকে বের করে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কার মদদে যুব মহিলা লীগের মত বড় একটি পদে পাপিয়ার মত মেয়েরা ঢুকে। তাদের সাপোর্ট না থাকলে কিভাবে ঢুকে? এসব ব্যাপার গুলো সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। অতীতে যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এবার থেকে তাদের মনোনয়ন দেওয় হবে না। এবং এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের পেছনে যেসব নেতাদের মদদ রয়েছে। তাদের তাদের ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নেবে। দলের সভাপতি যেখানে নৌকা প্রতীক তুলে দেন। সেই জায়গায় তার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার অর্থ কি। ভবিষ্যতে যেন এই ধরনের কর্মকান্ড আর না হয়। একই সাথে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যেন কোনো অপকর্ম করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব এর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ কর্ণেল (অব:) ফারুক খান এমপি, আওয়ামীলীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, শিল্পমন্ত্রী এড. নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি, আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট এ.বি.এম. রিয়াজুল কবির কাউছার, নরসিংদী ০১ সদর আসনের সাংসদ সদস্য মো: নজরুল ইসলাম হিরু (বীর প্রতিক), নরসিংদী ০২ পলাশ আসনের সাংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী ০৩ শিবপুর আসনের সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূইয়া মোহন, নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ আলী, নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক প্রধানসহ জেলার দলীয় নেতৃবৃন্দ।