মার্চের মাঝামাঝি দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা যেন পাঠ থেকে বিরত না থাকে সেজন্য সরকারি নির্দেশনায় পড়াশোনা এখন প্রযুক্তি নির্ভর। পড়াশোনার এই সুবিধা পেতে থাকতে হবে উচ্চ গতির ইন্টারনেট, স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ।
অনলাইন ক্লাসে শহরের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে থাকলেও ধারে কাছে নেই গ্রামের শিক্ষার্থীরা!। ইন্টারনেটের ধীরগতি ও ডিভাইসের স্বল্পতা কারনে গ্রামের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না। সময় যতই এগিয়ে যাচ্ছে, গ্রামের শিক্ষার্থীরা যতই পিছিয়ে পড়ছে। বাড়ছে বৈষম্য।সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস শুরু গ্রামের শিক্ষার্থীদের কাছে ধোঁয়াশা ছাড়া আর কিছুই না।দেশের কতভাগ শিক্ষার্থীর অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের সুযোগ আছে, কত ভাগ শিক্ষার্থীর অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই সেই সমীকরণ আমাদের অজানা।
সরকারি হোসেন আলী কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান মুকুল চন্দ্র দাস বলেন, অনলাইন ক্লাস থেকে শিক্ষার্থীদের বিশাল অংশ বাদ পড়ছে। তারা পাঠ্য বিষয়ের পড়া প্রস্তুত করতে ব্যাপক অসুবিধাতে পড়ছে। তাদের এ ক্ষতি কিভাবে পূরণ হবে সে বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। গ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। সরকারের উচিত একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতি অবলম্বন করা। তবে অনলাইন ক্লাস মন্দ না। আপাতত পাঠাভ্যাসের ধারাবাহিকতা তো বজায় থাকছে। আমি বলব’something is better than nothing! ‘
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রিফাত বিন অলিদ সে জানায়, ‘আমাদের গ্রামে ইন্টানেটের গতি তেমন ভাল না। তাছাড়া অনলাইন ক্লাসে ইন্টারনেট খরচ হয় বেশি। এভাবে আমাদের পোষাচ্ছেনা। হয়তো বিকল্প ব্যবস্থা বা আমাদের জন্য অন্য কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভাল হতো।
অভিভাবক আনোয়ার হোসেন বলেন, অনলাইন ক্লাসের পরিকল্পনা মন্দ ছিল না। তবে এটি সবার জন্য সুখকর হতো যদি সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেত।
তবে বিকল্প উপায় হিসেবে ভিডিও ক্লাস ধারন করে কলেজের ওয়েব সাইটে দেওয়া কথা বলছেন অনেকে। কিন্তু এতে করে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার সুযোগ থাকবে না।