বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এক দলীয় বাকশালের পর জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (৩১ মে) পলাশ উপজেলা এবং ঘোড়াশাল পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে ঘোড়াশাল পৌর অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর বেগম জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারেক জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
দ্রুত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী বলেই যত দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। উক্ত নির্বাচনে অন্য কেউ বিজয়ী হলেও তিনি তাকে স্যালুট জানাবেন। এসময় তিনি ৩৪ বছর আগের ৯১ সালে তার প্রথম নির্বাচনের স্মৃতিচারণ করেন।
ড. মঈন খান তরুণ প্রজন্মকে তার সেই নির্বাচনের অঙ্গীকারের তিনটি কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, কালো টাকার রাজনীতির পরিবর্তে সততার রাজনীতি। সন্ত্রাসের পরিবর্তে আইনের শাসনের রাজনীতি। আবেগের রাজনীতির পরিবর্তে উন্নয়নের রাজনীতি। বক্তব্যে তিনি তার স্বভাব সুলভ পরিচ্ছন্ন ও সাবলিল ভাষায় শহীদ জিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের স্মৃতি চারণ করেন।
পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা শেষে শহীদ জিয়া এবং তার পরিবারের সকলের মঙ্গল কামনায় দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
নরসিংদী মিরর/এফএ