নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার আমদিয়া ইউনিয়নে অস্থায়ী গরুর হাটের ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এক জামায়াত নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ইজারার ক্ষেত্রে একপক্ষকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে তাকে মারধর করে প্রতিপক্ষ গ্রুপ।
এ বিষয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী আবু তাহের (৪০) জামায়াতে ইসলামীর মাধবদী থানার আমদিয়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে।
শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় পাইকারদি বাজার এলাকায় আবু তাহেরকে মারধর করে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আহসান উল্লাহর অনুসারীরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন, তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে অস্থায়ী গরুর হাটের ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিস। শনিবার বিকেলে ফলাফল প্রকাশ করা হলে, আমদিয়া ইউনিয়নের পাইকারদি বাজারের ইজারা পান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের সাবেক পিএস শরীফ আহমেদ সফু। একই ইজারার জন্য আবেদন করেছিলেন যুবদলের সভাপতি আহসান উল্লাহও, তবে আবু তাহের টেন্ডারে অংশ নেননি।
শনিবার সন্ধ্যায় বাজারে আবু তাহেরের সাথে দেখা হয় আহসান উল্লাহর ভাই হাফিজুল্লাহ (৪০) এবং তার ভাতিজা, ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি প্রার্থী সুজন মিয়া (২২)-এর। অভিযোগ রয়েছে, শরীফ আহমেদ সফুকে টেন্ডার পেতে সহায়তা করার কারণে আবু তাহেরকে তারা মারধর করে এবং জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমানের দোকান ভাঙচুর করে।
ভুক্তভোগী আবু তাহের বলেন, “ব্যক্তিগত কাজে বাজারে গেলে হাফিজুল্লাহ ও সুজনসহ ১২-১৫ জন আমাকে ধরে নিয়ে যায়। শরীফ আহমেদ সফুর সাথে কথোপকথনের অভিযোগে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সফু ও আহসান উল্লাহর মধ্যে বিরোধ রয়েছে। আমি এই হামলার সঠিক বিচার দাবি করছি।”
এই ঘটনায় অভিযুক্ত আহসান উল্লাহ ও তার ভাই হাফিজুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি আমজাদ হোসাইন বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। আহত আবু তাহেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
নরসিংদী মিরর/এফএ
