রায়পুরায় বিয়ের ১০ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সুমাইয়া আক্তার (১৬) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত ৮টায় উপজেলা মহেশপুর ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমাইয়া ওই এলাকার রাজমিস্ত্রি রাশেদ মিয়ার স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুরসহ পরিবারের লোকজন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১০ মাস পূর্বে মহেশপুর ইউনিয়নের সাপমারার মো. বাদল মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া ও একই ইউনিয়নের কুড়েরপাড় গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে রাশেদ মিয়া পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। পরে ওই বিয়ে মেনে নেন উভয় পরিবার।
বিয়ের কিছুদিন পর টাকার জন্য সুমাইয়ার ওপর নির্যাতন চালাত তার স্বামী। পরে ওই গৃহবধূ বাবার কাছ থেকে স্বামী রাশেদকে এক লাখ টাকা এনে দেন। এরপরও নির্যাতন কমেনি। রাশেদ তার স্ত্রীর কাছে আরো টাকা দাবি করেন।
অবশেষে স্বামীর নির্যাতন আর সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে আসেন সুমাইয়া। এরপর রাশেদকে জানিয়ে দেন তিনি আর সংসার করবেন না। পরে নির্যাতন না করার শর্তে ক্ষমা চেয়ে স্বামী তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। গতকাল রবিবার রাতে ফোনে মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারেন সুমাইয়ার পরিবার। সোমবার দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন গাঢাকা দিয়েছে।
নিহত সুমাইয়ার বড় বোন রুমা আক্তার জানান, টাকার জন্য সুমাইয়াকে তার স্বামী প্রায় নির্যাতন করত। তিনি আরো বলেন, সুমাইয়াকে হত্যার পর তার স্বামী লাশ ঝুলিয়ে রাখে। বোন হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।
রায়পুরা থানার এসআই দেব দুলাল দে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় রায়পুরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।