বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের দুলালকান্দি বাজার থেকে নারায়ণ পুর বাজারে যাতায়াতের প্রধান সড়কের স্থানে স্থানে খানা খন্দে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই নানা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী।
বেলাব উপজেলার যে’কটি বড় হাট রয়েছে নারায়ণপুর বাজার সেগুলির মধ্যে অন্যতম। দুলাল কান্দি লক্ষীপুর, মরিচাকান্দি, নিলক্ষীয়া সহ আশে পাশের অনেক গ্রামের লোকজন এ বাজারে যাতায়াত করে । এলাকাগুলি কৃষিপ্রধান হওয়াতে উৎপাদিত ফসলের সিংহভাগ এ বাজারেই বিক্রি করতে নিয়ে যায় । রাস্তার এমন বেহাল দশাতে তাদের যাতায়াতে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কখনো কৃষিপণ্য বোঝাই ভ্যান উল্টে যাচ্ছে আবার দেখা যায় প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে ভ্যান থেকে পণ্য ছিটকে পরে যাচ্ছে।
দুলালকান্দি বাজারে শতাধিক মুদি ও অন্যন্যা দোকান রয়েছে। এসব দোকানের প্রয়োজনীয় পণ্যের বেশিরভাগই নারনয়ণপুর বাজার থেকে কিনে আনা হয়।
দুলালকান্দি বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ হলে তারা জানান, নারায়ণপুর বাজারে আর যাওয়া যাচ্ছেনা। রাস্তার এমন দুর্দশা রিক্সা ভ্যানে চড়তে গেলেই প্রাণ ভয় লাগে। মাঝে মাঝে মাল ভর্তি গাড়ি উল্টো যায় । গাড়িতে এ দুর্ঘটনা ব্যবসায়ের জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা চিন্তিত।
ভ্যান চালক খোকন মিয়া বলেন, ইমুন রাস্তাদা গাড়ি চালান যা না । গাড়ির চাক্কা ভাইঙ্গা যাগা । তারাতারি রাস্তা ঠিক না করলে আর যাওন যাইব না নারানপুর।
এলাকাবাসীরাও হতাশ । এলাকাবাসীরা জানান, বারবার আবেদন করেও এর কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। নারায়ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে তাদের জোর দাবি যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যার সমাধান করার উদ্যোগ নিতে।
নারায়ণপুর সরাফত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়, রাবেয়া মহাবিদ্যালয়ের অবস্থান নারায়ণপুর বাজারে। এ প্রতিষ্ঠান গুলি জেএসসি, এসএসসি, এইচ এসসি ও স্নাতক পরিক্ষার কেন্দ্র । পরিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে। যা পরিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
বারৈচা কলেজের এক পরিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক আবেদন করেও এ রাস্তার কোনো স্থায়ি সংস্কার কাজ হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে তার জোরালো দাবি আসন্ন পরিক্ষার আগেই যেন এ রাস্তা ঠিক করা হয়।
এ বিষয়ে নারায়ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছলেহ উদ্দিন খান সেন্টুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি বেলাব-মনোহরদীর সাংসদ,মাননীয় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুনের সাথে যোগাযোগ করা হয়। মন্ত্রী মহোদয় মেরামতের আশ্বাস দিলেও ফলাফল শূণ্য। কথা দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি।
রাস্তা মেরামতের জন্য চেয়ারম্যানের কি উদ্যোগ? এ প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান নরসিংদী মিররকে জানান, এটা ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার বহির্ভূত ব্যাপার। স্থানীয় সাংসদের কাজ এটি। তাই আপাতত চেয়ারম্যানের কোনো কিছু করার নেই।
তিনি নিজেও মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।