করোনায় কি থমকে যাবে বিশ্বের প্রাচীন রেস্টুরেন্ট?

আগের সংবাদ

করোনার প্রথম ভ্যাকসিন পুতিনের মেয়ের শরীরে পুশ

পরের সংবাদ

ইন্দোনেশিয়ায় জেগেছে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি

মিরর ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২০ , ১১:১৬ অপরাহ্ণ

করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই ইন্দোনেশিয়ার ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি আবার জেগে ওঠেছে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে ছোটবড় অসংখ্য আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ‘রিং অফ ফায়ার’নামে পরিচিত মাউন্ট সিনাবুং আগ্নেয়গিরি থেকে আবারও কালো ছাইয়ে আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হচ্ছে বলে জানাচ্ছে ডয়চে ভেলে।

সমুদ্রঘেরা দেশ ইন্দোনেশিয়ার একাধিক সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে ভয়ঙ্কর হিসেবে পরিচিত এই মাউন্ট সিনাবাং। উত্তর সুমাত্রার কারো উপত্যকায় লেক টোবা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই আগ্নেয়গিরি। ৮ হাজার ৭০ ফুট উচ্চতার এই আগ্নেয়গিরির সংলগ্ন এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার ভলক্যানোলজি অ্যান্ড জিওলজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন সেন্টারের অফিসার আরমান পুটেরা বলেছেন, কিছুদিন আগেই এই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ ফের জেগে উঠতে শুরু করেছিল। রাতের দিকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছিল। আগ্নেয়গিরির সংলগ্ন গ্রামগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। সোমবার ভোরে বিকট বিস্ফোরণ শোনা যায়। কেঁপে ওঠে মাটি। আতঙ্কে সকলে বাইরে আসে। এরপর লাগাতার বিস্ফোরণ হয়ে চলেছে। জ্বালামুখ থেকে ঘন কালো ধোঁয়া, ছাইয়ের স্তর বেরিয়ে গ্রাম ঢেকে ফেলেছে। তবে এখনও অবধি হতাহতের কোনো খবর মেলেনি।

২০১৬ সালেও একবার ফুঁসে উঠেছিল সিনাবাং আগ্নেয়গিরি। আবার বিস্ফোরিত হয়েছে এটি। বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে উত্তর সুমাত্রার একাধিক গ্রাম। কালো ধোঁয়া আর ছাইয়ের স্তর বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।

এর আগে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে বিস্ফোরণ ঘটায় সিনাবাং। প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয় গ্রাম থেকে। ২০১৩-১৪ সালে ফের অগ্ন্যুৎপাত ঘটায় মাউন্ট সিনাবাং। ২০১৬ সালে আরও ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়। নিহত হন সাত জন। প্রায় ১৮ হাজার গ্রামবাসীকে কয়েক সপ্তাহের জন্য ত্রাণ শিবিরে রাখতে হয়।

সবমিলিয়ে এবার কতটা ফুসে উঠে রিং অব ফায়ার সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে।

নকি