এসএসসি পরীক্ষার্থী রাজন হত্যা: জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে থানা ঘেরাও করে সহপাঠীদের বিক্ষোভ

আগের সংবাদ

রায়পুরার হাসনাবাদ বাজারে ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেট উদ্বোধন

পরের সংবাদ

পলাশে দেশবন্ধু সুগার মিলে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৫ , ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় অবস্থিত দেশবন্ধু সুগার মিলে বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি ছাড়াই শ্রমিক ছাঁটায়ের অভিযোগে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) দুপুরে এরই অংশ হিসেবে কারখানায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় কারখানা কর্তৃপক্ষ পলাশ থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শ্রমিকেরা জানায়, ৫ই আগস্ট পরবর্তীতে দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে তিনি বিদেশে আত্মগোপনে রয়েছেন। এই অবস্থায় দেশবন্ধু গ্রুপের দেশবন্ধু সুগার মিলের কাঁচামাল হিসেবে র-সুগার আমদানি করতে না পারায় মিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় কয়েক মাস শ্রমিকদের শুধুমাত্র মূল বেতন পরিশোধ করে আসছে। কিন্তু গত দুই মাস যাবৎ সেই মূল বেতনও বন্ধ রয়েছে।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, দৈনিক প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনকারী দেশবন্ধু সুগার মিলে প্রায় ৬ শতাধিক শ্রমিক ও ৫০ জন প্রকৌশলী কর্মরত রয়েছে।

কারখানাটি সর্বপ্রথম স্থানীয় আখ ব্যবহার করে সেনা কল্যাণ সংস্থা নামে একটি প্রতিষ্ঠান দেশবন্ধু সুগারমিল প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর লোকসানের অজুহাতে দীর্ঘদিন কারখানাটি বন্ধ ছিলো। পরে গোলাম মোস্তফা দেশবন্ধু সুগার মিলটি ক্রয় করেন। এরপর থেকে কারখানাটির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোস্তফা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তার ভাই গোলাম রহমান দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

কারখানার একটি সূত্র জানায়, এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা এস আলম গ্রুপের সাথে যৌথভাবে সুগার মিলের কাঁচামাল আমদানি করতেন। ৫ই আগস্ট পরিস্থিতির কয়েকদিন আগে তিনি বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। ৫ই আগস্টের পর দেশে ফ্যাসিবাদের দোসর অভিযোগে মামলার আসামি হওয়ার কারণে তিনি আর দেশে আসতে পারছেন না। এ কারণে এই কারখানার কাঁচামাল আমদানিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যার ফলে কারখানাটি বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় দেখছে না মালিকপক্ষ।

দেশবন্ধু সুগার মিলের প্রকল্প প্রধান মোহাম্মদ আরশাদ হোসেন জানান, দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বিদেশে থাকার কারণে অগ্রণী ব্যাংক আমাদেরকে এল সি খোলতে দিচ্ছে না, যার কারণে আমরা সুগারের কাঁচামাল হিসেবে র- সুগার আমদানি করতে পারছি না। যার কারণে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কারখানা বন্ধ থাকা অবস্থায় শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এজন্য কিছু সংখ্যক প্রকৌশলী ও শ্রমিককের কিছুদিনের জন্য বেতন বন্ধ রাখা হবে। তবে আগামী বাজেটে এই অবস্থার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

নরসিংদী মিরর/এফএ