অসচ্ছল শিল্পীদের পাশে পাপড়ি

আগের সংবাদ

অসহায়দের পাশে নরসিংদী মডেল কলেজ

পরের সংবাদ

করোনার অফিসে মোড়ে মোড়ে দুর্ভোগ

ইয়াহইয়া নকিব

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২০ , ১১:৩৬ অপরাহ্ণ

করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন থাকায় সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ। মাঝে মাঝে কিছু রিক্সা-অটো চলাচল করলেও প্রশাসনের সামনে  পড়লে প্রায়ই চড়া মূল্য দিতে হয়। অন্যদিকে মাধবদীর শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্যে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। জীবিকার তাগিদে নরসিংদী সদর, শিবপুরসহ  আশেপাশের উপজেলা থেকে প্রতিদিন সকালে অফিস করতে আসেন অনেক শ্রমজীবি মানুষ।

রোজার সকালে ৯টায় বাসা থেকে বের হয়ে হাটতে হাটতে আরশিনগর যাওয়া হয়। সেখান থেকে রিক্সা বা অটো পেলে বাজির মোড়ের পথে।  তবে কিছুদূর যেতেই পুলিশের বাধায় পড়তে হয়, দিতে হয় হাজারটা জবাব। অটোর তাড়, মিটার কিংবা গ্লাস ক্ষয়ে পড়ে অনেক সময় আইনের বেড়াজালে। আবারো নেমে হাটতে থাকে মামুন। পৌরসভা মোড়ে গিয়েও বাধ্যতামূলক এ জগিং শেষ হয় না তার। ঘাম মুছে আবারও কিছুটা পথ যেয়ে রজনীগন্ধা চত্ত্বরেরে কিছুটা সামনে এসে ভাগ্যভালো থাকলে রিক্সায় ওঠে যায়। পরে সাহেবের মতো সাহে প্রতাপ চলে যায়। সেখান থেকে প্রতাপ নিয়ে ভ্যানে ওঠে পাঁচদোনা মোড়। এখানে আবার পুলিশের বাধাঁ।

করোনা থেকে মুক্ত থাকতে রোদ পোহাচ্ছে মামুন

পাকিজার আগেই নেমে যেতে হয়। পরে হেটে আবারও রিক্সায় ফ্যাক্টরির গেটে। সেখান থেকে ব্যাংকের সিরিয়াল আর হিসাবের মারপ্যাচ। ইফতার করে রিক্সা পাওয়া যায় না খুব বেশি। আবারও রাতের আধারে জীবনের পথ হেটে চলে মামুন । বাসায় আসতে আসতে রাত হয়। গোসল করে নামাজ পরে বিছানায় যায়। তবে তাড়াবির  প্রথম কাতারে যার স্থান থাকতো সে মামুন বাসায় নামাজ পড়ে মজা পায় না। তবুও ক্লান্ত শরীরে যখন বিছানায় যায় তখন সৌদিতে থাকা বাবার কথা খুব চিন্তা করে। নানান চিন্তারা ডালাপালা মেলে ওঠে চুলের গোড়ায় গোড়ায়। বলে রাখা ভালো মামুন বন্ধুদের সাথে একটা গ্রুপে যুক্ত আছে। গ্রুপটির নাম রাখা হয়েছিল “বিয়া পাগলা”। তবে সে গ্রুপের কেউ এখন আর বিয়া পাগল না। এভাবেই বেতনের অনিশ্চয়তা নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মামুন প্রতিদিন হেটে চলে।

এ সমাজের হাজারো মামুনরা এখনো হেটে চলছে সুন্দর এক সুদিনের পানে…

নকি